করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপন ঘিরে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেপুলিশ(সিএমপি) ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনে ১৫টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন ও গির্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে রাতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানসমূহ পালিত হবে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
রাতে পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরণের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।
অনুমোদিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। উম্মুক্ত স্থানে নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরণের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি বা পটকা ফোটানো হলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর পতেঙ্গা সী-বীচ ও পারকি বীচ এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীর সকল লাইসেন্সকৃত বার ও মদের দোকান খোলা রাখা যাবে না। গাড়ীতে উচ্চ স্বরে হর্ণ বাজানো যাবে না বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ী বা মোটরবাইক চালানো যাবে না। আনন্দ উদযাপনের মধ্যে শালীনতা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হবে। মাদ্রকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকতে হবে। অশোভন আচরণ এবং বে-আইনী কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার হুশিয়ার করে বলেন, নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।