অবশেষে বহিষ্কার হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশের পরও নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় কদিনের মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয় হবে । এ অবস্থায় ভোটের মাঠ থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। বিএনপি প্রার্থীর জন্য নয় দলের বিদ্রোহীদের কারণে এখন বেকাদায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বিদ্রোহীদের দমাতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের দফায় দফায় বহিস্কারের হুংকারও কাজে আসেনি। দায়িত্বশীলরা বিরোধ মেটাতে না পারায় দলের সমর্থন পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখন ভোটারের কাছে না গিয়ে সিনিয়র নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও অন্তত ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায়।নগর আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আমাদের দলের গঠনতন্ত্রে যা যা ব্যবস্থা আছে তা নেবেন বলে কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে।এখন অপেক্ষা সেক্রেটারি আ জ ম নাছিরের, তিনি ঢাকা থেকে আসলেই কি সিদ্ধান্ত হয় তার দিকে তাকিয়ে আছেন দল সমর্থিত কাউন্সিলররা। যদিও আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, কেন্দ্র যেভাবে নির্দেশনা দিবে সেভাবেই নগর আওয়ামী লীগ কাজ করবে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহীদের বহিস্কারের যে কথা বলেছেন সে সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাবেক মেয়র নাছির বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়। আমি আগে চট্টগ্রামে যাই, তখন উনার সাথে কথা হলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে কেন্দ্রের নির্দেশনা মতে সব করা হবে।’
আওয়ামী লীগের একটি অংশের দাবি, শুধু যেসব প্রার্থী দলীয় পদে ছিল তারাই বিদ্রোহী না হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আর যাদের তেমন কোনো দলীয় পদ নেই তারাই এখনো প্রার্থী হিসাবে রয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে তাদের কি ভাবে দেখাচ্ছেন।