আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা নির্বাচন। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে এবারের নির্বাচনে ১২ হাজার ৬৪০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও ঠিক ততোটাই জমে উঠেছে।
এবারে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. আমিনুর রহমান, বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাহবুবুর রহমান চপল ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ত্রিমুখী লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছেন। এছাড়াও প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ৫৬ জন প্রার্থী।
ইতিমধ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কনকনে শীতের তীব্রতাকে হার মানিয়ে সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে শহরের গন্ডি পেরিয়ে পাড়া-মহল্লার হোটেল, রেস্তোরাসহ টি-স্টলগুলোতেও চলছে প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাধারণ ভোটাররা মনে করেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আসন্ন পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে মেয়র পদে আবারও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করবেন তারা।
এতে পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রার্থীদের পোষ্টার ও ব্যানারে এক রকম উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এবং পৌরসভায় নতুন রুপে যিনি নাগরিকদের জীবন মান উন্নত করবেন, নাগরিক সুবিধা বেশি দেবেন এমন যোগ্য প্রার্থীকে তারা বেছে নিবেন এমনটাও মন্তব্য অনেকের।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আমিনুর রহমান জানান, সারাদেশের ন্যায় ধামইরহাটে নৌকার যে গণজোয়ার উঠেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে আমি শতভাগ আশাবাদী।
বিএনপি প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা নিশ্চিত।
স্বতন্ত প্রার্থী এ্যাড আইয়ুব হোসেন জানান, নাগরিকের অধিকার নিশ্চিতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমার পাশে আছেন।
ধামইরহাট নির্বাচন অফিস জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ভোট কেন্দ্রে ৩৮টি বুথে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।