আলোরকণ্ঠ২৪.কম: সিনিয়র স্টার্ফ রিপোর্টারঃ (জাকিরুল ইসলাম রিয়াদ) : র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্ব ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে করছে র্যাব। তদন্ত ঘিরে বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয়হীনতা নেই। পুলিশের বিরুদ্ধে করা এই মামলার তদন্তকারী সংস্থার প্রধান আল মামুন সোমবার বিকালে হত্যাকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। আমাদের প্রতিনিধি জানান, হত্যাকাণ্ডস্থল পরিদর্শনের সময় র্যাব মহাপরিচালক আরো বলেন, তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যা যা করা প্রয়োজন করা হচ্ছে। আমি নিজেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম তদারকি করছি। আমাদের কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি জানান, র্যাবের কাছে তদন্তাধীন সবকটি মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে মিডিয়া উইং এর পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে কক্সবাজারের আর্মি রিসোর্টে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন র্যাবের হাতে আসলে ওই প্রতিবেদনের সকল তথ্য, উপাত্ত আমলে নিয়ে যাচাই বাছাই করে তদন্ত কার্যক্রম আরো এগিয়ে নেওয়া হবে। এসময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওসি প্রদীপসহ সিনহা হত্যায় ৩ মূল অভিযুক্তকে যে কোনো মুহূর্তে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।
লিয়াকত, নন্দদুলালকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ : এদিকে সিনহা হত্যার ঘটনায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতকে https://www.nicholasprojects.org/ সাত ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। তবে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে আজ মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোকাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির চার সদস্য গতকাল বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছান। পরে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দলের সদস্যরা লিয়াকত আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মঙ্গলবার ‘লাঞ্চের’ পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এরপর তদন্ত দলের সদস্যরা বের হয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান। এ সময় সারাদিন কারাফটকে অপেক্ষায় থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি।