আব্দুল কাদের জিলানী ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃজেলার বিভিন্ন হাটের কাঁচা বাজারে দাম কমে যাওয়ায় ফুলকপি ও পাতাকপি গরুর খাদ্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বস্তা ফুলকপি-পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ১০০ টাকায়। কিছুদিন আগেও প্রতি কেজি কপি ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি কপি ১ থেকে দেড় টাকা আর ৬০/৬৫টি কপির প্রতি বস্তা ৩০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । এতে কৃষকদের অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে। তারা বলেন,মাঠ থেকে বাজারে পরিবহন খরচ তুলে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা । সেই সাথে মাঠে কপির পরিচর্চার টাকা একেবারেই বিফলে যাচ্ছে। তবে মৌসুমের প্রথমদিকে কিছুটা দাম বেশি ছিল এখন তাদের উৎপাদিত কপি একেবারে পানির দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে গরুর জন্য কপি ক্রয় করতে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ৩ বস্তা কপি কিনেছেন ২১০ টাকায়। পৌর মার্কেকেটর ব্যবসায়ী আরমান আলী জানান, গরুর খামারিরা বাজার থেকে এখন তাদের গরুকে খাওয়ানোর জন্য বস্তা বস্তা কপি কিনছেন। তিনি নিজেও তার গরুর জন্য প্রতিদিন সকালে কম দামে কপি কিনেন। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা খুচরা পাইকাররা মাঝে মাঝে ভালো মানের প্রতি বস্তা কপি ১২০ টাকায় কিনে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন তবে সেখানেও চাহিদা কমে গেছে। খুচরা বাজারে ২ থেকে ৫ টাকা দরে কপি বিক্রি করছেন তারা ।
রানীশংকৈলের শিবদিঘী বাজারে কপি বিক্রি করতে আসা সাদেকুল নামের এক কৃষক জানান, একটু ভালো দাম পেলে কীটনাশক ও পরিচর্চার খরচ উঠে আসতো। এভাবে কপি আবাদ আর বিক্রি করে লোকসান গুনতে হতো না ।
এ ব্যাপারে রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, জেলার মধ্যে এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সব্জির আবাদ হয়, একই সাথে এখানে কোন রবিশস্যের সংরক্ষণাগার নেই। তবে এ বাজার দর বেশিদিন স্থায়ী থাকবেনা। তিনি এ উপজেলায় একটি রবিশস্যের সংরক্ষণাগার স্থাপনের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।