কোমল সূর্যরশ্মিতে ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দুগুলো মুক্তোদানার মতো ঝলমল করে। গাছের পাতা থেকে শিশির ঝরে পড়ার টুপটাপ শব্দ আর পাখিদের কলরব আন্দোলিত করে গ্রামীণ জীবনযাত্রাকে।হঠাৎ হিমেল বাতাসে ভেসে আসা মিষ্টি গন্ধ আমাকে মুগ্ধ করে। কৌতূহল নিয়ে বাইরে এসে দেখি উনুনে খেজুর রস জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে শীতের নানা পিঠাপুলি। কী স্নিগ্ধময় গ্রামবাংলার শীতের সকাল! নানান ফুলের চাদর বিছিয়ে রাখা হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
কী অপরূপ প্রকৃতি! ছোটবেলায় খুব দুরন্ত প্রকৃতির সাথে ছিলাম। ফলে শীতের প্রভাব আমাদেরকে খুব একটা বিচলিত করতে পারেনি। শিশিরভেজা মেঠো পথে খালি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আমিও তাদের সঙ্গী হলাম। কিছুটা
পথ এগোতেই চোখ দুটি জুড়িয়ে গেল সরিষাখেত দেখে শহরে ইট-কাঠ-পাথরের দেয়াল আর অহরহ গাড়ির অবিরাম ছুটোছুটিতে শীতের প্রভাবটা গ্রামের তুলনায় একটু কম অনুভূত হয়। কিন্তু শহরের তুলনামূলক কম শীতকে উপেক্ষা করে গ্রামের হাড়কাঁপানো শীত অনেক বেশি উপভোগ্য। শীত এলেই মনে পড়ে ফেলে আসা সেই দিনগুলোর কথা।