ক্রমশ উত্তপ্ত সংঘাতময় হয়ে উঠছে চসিক নির্বাচন মাঠ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমশ সংঘাতময় হয়ে উঠছে। এরইমধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। ৭২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টি কেন্দ্র এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের আধিপত্য থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। একইসাথে সংঘাত এড়াতে নির্বাচনের দিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবিকে মাঠে রাখার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন-ইসি।। পুলিশ-র‌্যাব-আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে কেন্দ্রভিত্তিক চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার পাশাপাশি নির্বাচনের দিন বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

নিরাপত্তায় কর্ণফুলী নদীতে মোতায়েন থাকবে কোস্টগার্ড। নির্বাচনে ভোটার প্রায় ১৯ লাখ। ভোটের দিন ২০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখনো নির্বাচনের মাঠে রয়ে গেছেন। এ অবস্থায় বিএনপিকে এড়িয়ে আওয়ামী লীগ এবং তার বিদ্রোহীরাই রয়েছে মুখোমুখি অবস্থানে। আর ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মারমুখি অবস্থানের কারণে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। তাই বেড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা।

শুধু কেন্দ্র নয়। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ১৫টি ওয়ার্ডকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে দেখছেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এসব এলাকায় বর্তমান কাউন্সিলররা দলীয় মনোনয়ন পায়নি। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ এবং বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সংঘাতে ইতোমধ্যে মারা গেছেন দুজন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা কোনো কেন্দ্রকে হালকাভাবে দেখছি না। নির্বাচনের দিন যাতে কোনো ধরনের সংঘর্ষ না ঘটে সে জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনে ভোটার প্রায় ১৯ লাখ। ভোটের দিন ২০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা জানান অভিজ্ঞ মহল।