বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘনকুয়াশা জমেছে :সেতুমন্ত্রী

আজ বৃহষ্পতিবার(২১জানুয়ারি)প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা টিকা সংগ্রহ ও প্রদানের কাজ স্বচ্ছতা ও সফলতার সাথে শেষ করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের আজ ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শীতার্তদের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদান কাজ স্বচ্ছতা এবং সফলতার সাথে আমরা শেষ করবো ইনশাআল্লাহ।’

করোনার টিকা নিয়ে বিএনপি আবারও অপপ্রচার শুরু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনকল্যাণে নিবেদিত সরকারের যে কোন প্রশংসনীয় উদ্যোগকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা তাদের অপরাজনীতির অংশ। তারা টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলের গান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বিএনপি নামক গুজব পার্টির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’

প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধর্মের দোহাই ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।’

বিএনপি বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনার তীর ছুঁড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যা আওয়ামী লীগের গত সাত দশকের ঐতিহ্য।’

বিএনপি প্রো-একটিভ নয়,তাদের রাজনীতি হচ্ছে রি-একটিভ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা চারিদিকে শুধু ধ্বংস দেখতে পায়, তারা সরকারের কোন উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না। আসলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে গ্রাস করেছে দুর্ভেদ্য নেতিবাচকতা। কারণ বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘনকুয়াশা জমেছে।

বিএনপির রাজনীতি এখন কুয়াশাচ্ছন্ন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোতো দুরের কথা, তারা নিজেরাই শীতে কাতর। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে জুলুম আর লুটপাটতন্ত্র।

পৌরনির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩য় ও ৪র্থ ধাপের নির্বাচন সামনে, তাই আবারও স্মরণ করে দিতে চাই, যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উস্কানী দিবে তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কোন পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলন করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পকেট কমিটি কোন ভাবেই করা যাবে না, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে।

পরে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।