বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বাড়িটি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।,এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।,আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ,হানিফ বলেন, যাত্রামোহন (জেএম) সেনগুপ্তের বাড়িটি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত। শুধু একটি বিষয়ে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, সেটা হলো যে এটি একটি ঐতিহাসিক ভবন। এর ঐতিহ্য ধারণ করতে সব রকমের সহায়তা করব। জেলা প্রশাসককে বলব ঘটনাটি যথাযথভাবে দেখতে। কেন, কী কারণে ঘটনাগুলো ঘটেছে এবং আইনগত মিমাংসা যেন দ্রুত হয়। আশাকরি দ্রুত ঘটনাটি আইনিভাবে নিষ্পত্তি হবে। রানা দাশগুপ্ত বলেন, ভূমিদস্যুরা অপকৌশলে আদালতের একটি রায় এনেছে। জেলা প্রশাসন যেখানে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে এ সম্পত্তির কাস্টডিয়ান তাদের সেখানে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। শিশুবাগকেও মামলায় প্রতিপক্ষ করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের সম্পূর্ণ অগোচরে কীভাবে তারা এই মামলায় রায় পেল? ভবনটি ভাঙার দায়িত্ব তাদের দিল কে? সেদিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা সব পক্ষের সামনে বলেছে, আপনারা চলে যান আমরা তালা দিয়ে দেব।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি এম ফরিদ চৌধুরী নামে একজন আদালতের কাছ থেকে মালিকানা সংক্রান্ত দখলের আদেশ পেয়েছেন দাবি করে তার পক্ষে কিছু লোক বুলডোজার নিয়ে যাত্রামোহন সেনগুপ্তের (যতীন্দ্র মোহনের বাবা) বাড়িটি ভাঙতে যান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে ভবনটির একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত স্থানীয়দের নিয়ে ভবনটির সামনে অবস্থান নেন। প্রতিরোধের মুখে তখন ভবন ভাঙা বন্ধ রাখা হয়।