আজ নগরীর ভোট কেন্দ্রে ইভিএম সচেতনতায় মক ভোটিং শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ। এখন ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। আজ সোমবার।নগরীর ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে ইভিএম সচেতনতায় মক ভোটিং।। সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোটারদের ইভিএম-এ ভোট দেয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে দেবেন প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জানান ভোটাররা ইভিএম-এ কিভাবে ভোট দেবেন-সেই পদ্ধতি ভোটারদের আগে জানিয়ে দেয়ার জন্য আমরা অনুশীলনমূলক (মক) ভোটের আয়োজন করেছি। ভোটাররা সরেজমিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কিভাবে ভোট দেবেন এবং তিনি যেই জায়গায় ভোট দিচ্ছেন তা ঠিক মতো দিচ্ছেন কিনা সব জানতে পারবেন-এই মক ভোটিংয়ের সময়।
জানা গেছে, চসিক নির্বাচনে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২টি, অস্থায়ী বুথের সংখ্যা ৭৬৪টি। ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা।

এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন ১৪ হাজার ৩৭০ জন। এছাড়াও ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে ৩০৬টি সাধারণ ও ৪২৯টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রে কোথায় কি পরিমাণ পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত ভোটের পরিস্থিতি ভালো আছে। ছোটখাট কিছু ঘটনা ঘটলেও তা কমে এসেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেখানেই সমস্যা হচ্ছে সেখানেই নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছি। এখন ভোটগ্রহণের পূর্ণ প্রস্তুতি চলছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্য মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্সও ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করবে।’