ক্যারিবীয়দের বিশাল রানের টার্গেট দিল টাইগাররা

আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচে তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর তিন ৬৪তে এবং সাকিবের ফিফটিতে ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৭ রানের স্কোর গড়েছে টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে শুরুতেই দুই উইকেট খুইয়েছে উইন্ডিজ।২৯৮ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবিয় শিবিরে দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। টাইগার এই পেসারের আঘাতে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে উইন্ডিজ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে লিটন দাসকে (০) হারিয়ে দলের হাল ধরলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। শেষ দিকে গিয়ে ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা নেন অন্য দুই অভিজ্ঞ তারকা ও ভায়রা মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ওপেনার লিটন দাস ব্যর্থ হন এই ম্যাচেও। আলজারি জোসেফের প্রথম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসাইন আর তামিম যখন শুরুর ধাক্কাটা সামলে ওঠার চেষ্টায়, ঠিক তখনই কাইল মায়ার্সের বলে সেই এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েই বিদায় নেন নাজমুল। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।

তবে আগের দুই ম্যাচে না পারলেও এদিন ঠিকই অর্ধশতক হাঁকান অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবাল। শুরুতে দুই সতীর্থকে হারালেও নিজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ রাখেন তামিম। ২৮তম ওভারে ফেরার আগে ৮০ বলে ৮০ স্ট্রাইক রেটে ৬৪ করেন তিনি। এর মধ্যে চারের মার তিনটি ও ছয় একটি।

অধিনায়ক হিসেবে ৬ ওয়ানডেতে তার দ্বিতীয় ফিফটি এটি। আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অষ্টম। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিও আছে দুটি।

চার নম্বরে নেমে সাকিব করেন ৫১ রান। ৮১ বলে তিন চারে এই রান করেন সাকিবের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়া এই অলরাউন্ডার। পাঁচ নম্বরে নামা মুশফিকও পেয়েছেন অর্ধশতক। ১১৬ স্ট্রাইকরেটে তিনি ৫৫ বলে ৬৪ করে যান।

চার সিনিয়রের তিনটি ভালো জুটিতেই রান উঠেছে দলের। তামিম ফেরার পর মুশফিক-সাকিব করেন ৪৮। মুশফিকের সঙ্গে আবার ৭২ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ। তার স্ট্রাইকরেটও (১৪৮.৮৪) ভালো ছিল। তিনি ৪৩ বলে ৬৪ করে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ এদিন দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। হাসান মাহমুদ এবং রুবেল হোসেনকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। তাদের জায়গায় খেলছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং তাসকিন আহমেদ। তাসকিন ৩ বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন।