এস আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদনঃ আজ বুধবার(২৭ জানুয়ারি) ২০নং দেওয়ানতবাজার ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র। স্কুলের গেইট না খুললেও ভোট দিতে সাতসকালেই সেখানে জড়ো হয়েছেন বেশ কয়েকজন ভোটার।
ভোট দিতে সাতসকালে জটলার এমন চিত্র ছিল আরো কয়েকটি কেন্দ্রে। সবমিলিয়ে আজ নগরে আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ৭৩৫টি কেন্দ্র।চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন ।চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্তটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এই ভোটে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও ধানের শীষের ডা. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। সবকটি কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আট হাজার পুলিশ সদস্যসহ থাকবে মাঠে। প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ ৬ জন ও আনসার সদ্য ১২ জন। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ৭৩৫ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে এর মধ্যে ৪২৯ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। নির্বাচনে ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালীকে মারামারি ও সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি মনোনীত এ প্রার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া নগরের পাহাড়তলীর পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকায় সকাল ৮টার দিকে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত নিজামউদ্দীন ১২নং ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী। ঘাতক ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন কামরুল। তিনিও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।
কাউন্সিলর পদে ৪০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তবে কাউন্সিলর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এবং হতাহতের ঘটনাও ঘটে তবে সার্বিক পরিস্হিতি মোটামুটি ভালো বলে জানান। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ আনসার সদস্য তৎপর। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ৭৩৫ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে এর মধ্যে ৪২৯ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, যা মোট কেন্দ্রের ১০’ ১২ কেন্দ্রে মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৭ জন। কাউন্সিলর প্রার্থী ২২৫ জন। এবার ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। । ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন, বলে জানান বিভিন্ন শ্রেনির ভোটাররা ।
‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষকরাও মাঠে আছেন। ভোটারদের নিরাপত্তায় বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টিম টহলে । এ ছাড়া, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য গোলোযোগের সংবাদে তাৎক্ষনিক ব্যাবস্হা নিচ্ছেন।
’বিস্তারিত » Alorkantho 24 new