আজ সাগরে লঘুচাপে ভারি বৃষ্টি হতে পারে,সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

আজ বৃহস্পতিবার(২০ আগস্ট)খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ এলাকাতেই ভারি বর্ষণ হতে পারে। অন্য বিভাগেও হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সাগরে এক সপ্তাহ আগেই তৈরি হয়েছিল একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ। সেটির প্রভাবে গত সপ্তাহের প্রায় পুরোটা সময় দেশের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছিল।বুধবার সকালে ফের আরেকটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। দুপুরে তা সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া অফিস জানান,দুই সপ্তাহ ধরে টানা যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এরপর ধীরে ধীরে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। আবহাওয়াবিদরা বলেন, সাগরে তৈরি হওয়া লঘুচাপটি দুপুরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। তবে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এটি আজকের মধ্যেই স্থলভাগ অতিক্রম করবে। যার প্রভাবে দেশের তিনটি বিভাগে হালকা থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যও বলছে, সারা দেশে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনো চারটি স্টেশনের পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে বইছে। যমুনা, আত্রাই, ধলেশ্বরী ও পদ্মা নদীর পানি এখনো ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গা নদীর পানি সমতল থেকে বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় স্থিতিশীল থাকবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার বেড়ে বিপত্সীমার ছয় সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যাকবলিত এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ফের বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে। এরই মধ্যে চরাঞ্চলের শতাধিক একর জমির বীজতলা ও সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। নতুন করে পানি বাড়তে থাকায় আগের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।নদীর পানি বেড়ে এলাকার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র জানান, বুধবার ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে চার সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপত্সীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদীতীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে উপজেলার দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া, ছোটভাকলা ও উজানচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম।
এদিকে কুড়িগ্রামে সব নদ-নদীর পানি বিপত্সীমার নিচে থাকলেও দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ফসলহানি ও নদীভাঙনের কারণে বিপাকে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এখনো অনেক এলাকায় আমনের জমি ডুবে আছে পানিতে। কোথাও কোথাও বালুতে ঢেকে গেছে ধানি জমি। ফলে বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা রয়েছে।