পোস্টার অপসারণ করলেন নবনির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে নিজ উদ্যোগে নগরীর বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও থানা ও খাজা রোড এলাকায় নির্বাচনী পোস্টার অপসারণে নেমে পড়েন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী ।অসংখ্য নেতাকর্মী শুক্রবার সকালেও রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও অভিনন্দন জানাতে এলে তিনি তাদেরকে নিয়ে আশপাশের এলাকায় নির্বাচন উপলক্ষে লাগানো পোস্টারগুলো অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেন। বাঁশের কঞ্চি হাতে মাথার উপর থেকে পোস্টার নামিয়ে অপসারণ করেন ।নির্বাচনী পোস্টার অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন। নিজ হাতে পোস্টার অপসারণ করার মাধ্যমে।।

মেয়র রেজাউল বলেন, নগরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আমি উদ্যোগী হবো। চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে পোস্টার অপসারণের ব্যাপারে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নব-নির্বাচিত কাউন্সিলরদেরও নিজ নিজ এলাকা থেকে আজ ও আগামিকালের মধ্যে সব পোস্টার অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

তিনি ক্লিন ও গ্রীণ সিটি গড়তে নগরবাসীর সহায়তা কামনা করেন।


এদিকে চসিক নির্বাচন উপলক্ষে টাঙানো প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এরপর এসব ব্যানার ও পোস্টার অপসারণে কাজ শুরু করেছে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের সমন্বয়কারী সালমান খান ইয়াসিন জানান, চসিক নির্বাচনে পরিত্যক্ত হওয়া পোস্টারগুলো সংগ্রহে ২য় দিনের কর্মসূচি চলছে। দুইটি গাড়িতে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিভিন্ন স্পট থেকে পোস্টার সংগ্রহ করেছি। এসব পোস্টার মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন বিদ্যানন্দের স্টোরে নিয়ে ফিল্টার করে যেগুলো লেখার উপযোগী সেগুলো আলাদা করা হচ্ছে। এই পোস্টার দিয়ে গরিব, অসহায় শিশুদের ‘লেখার খাতা’ তৈরির কাজ চলছে।
কর্মীদের সামনে দেয়া বক্তব্যে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নাগরিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমি এ কাজ করেছি। আমার শহর আমার অহংকার এ ভাবনা মাথায় রেখে নগরীর সকল নাগরিকের উচিৎ নিজের শহরের সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সচেতন ভূমিকা রাখা।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে প্রচারণার স্বার্থে আমরাই এ পোস্টারগুলো লাগিয়েছি। পোস্টারের মাধ্যমে মানুষের ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেছি। এখন নগরীর সৌন্দর্য ও নগরীর মানুষের স্বার্থেই আমাদের উচিৎ নিজেদের উদ্যোগে নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে এ পোস্টারগুলো নামিয়ে ফেলা। এ সময় তিনি পোস্টারগুলো ছিঁড়ে যেখানে সেখানে না ফেলার জন্যও অনুরোধ জানান। দু’দিনের মধ্যে নগরীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হবে। পোস্টারের কারণে যানবাহন চলাচলে সৃষ্ট বাধা অপসারণ করতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে নামিয়ে ফেলা নির্বাচনী পোস্টার ও ব্যানার যথাযথ স্থানে অপসারণে বিশেষ উদ্যোগী হবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।