আজ শুক্রবার(১২ ফেব্রুয়ারি)আগামীকাল ‘বিশ্ব বেতার দিবস ।জাতির পিতার আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ বেতার প্রয়াস অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রোতৃমন্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।রাষ্ট্রপতি আগামীকাল ‘বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি জানান,জনগণের কাছে তথ্য ও বিনোদন পৌঁছে দিতে বেতার বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম। ‘বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১’ এর প্রতিপাদ্য ‘নতুন বিশ্ব, নতুন বেতার’ করোনা-মহামারির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার বর্ষব্যাপী নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে জেনে তিনি খুশি হয়েছেন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও বৃহত্তম গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দ্বিতীয় ফ্রন্ট হিসেবে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গর্বিত উত্তরসূরি বাংলাদেশ বেতার স্বাধীনতার পর থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে জনগণকে সম্পৃক্ত করে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। বেতারের দুই হাজারের অধিক শ্রোতা-ক্লাব শ্রোতাবৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড-পরিচালনা করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন বিশ্বে বাংলাদেশ বেতার বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ-প্রতিরোধ, ডেঙ্গু ও করোনা-মহামারির সচেতনতা ও দুর্যোগবিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্য, সংবাদ, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেছে। ১৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ থেকে ‘বাংলাদেশ বেতার’ ও ভারতের ‘প্রসার ভারতী’ সহযোগিতামূলক বিশেষ অধিবেশনের সম্প্রচার পারস্পরিক সম্পর্কন্নোয়নে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি ‘বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।