করোনা টিকার ব্যাপারে কোন ধরণের সন্দেহ পোষণ না করে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবাইকে এই টিকা গ্রহণের আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ রবিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় করোনা ডেডিকেটেড ৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকার ব্যাপারে কোন ধরণের বিভ্রান্ত সৃষ্টি না করে গণমাধ্যম কর্মীদেরও এই টিকা গ্রহণ করে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোন ধরণের পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই। মন্ত্রী জানান, টিকার ব্যপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক সচেতনতা এসেছে। প্রতিদিন অন্তত দুই লাখ মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন। এই টিকার মাধ্যমেই বাংলাদেশ করোনমুক্ত হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপচিালক খুরশীদ আলম, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, জেলা সভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশারসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
এ সময় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান শহরের পুরান কোর্ট এলাকায় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জন্য নির্মানের পর তিন বছর যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ভবনটিকে হার্ট চিকিৎসার জন্য একটি আধুনিক হাসপাতাল করার দাবি জানান।
বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, যেহেতু ভবনটি আইন মন্ত্রনালয়ের অধিনে রয়েছে, তাই এ ব্যাপারে যথাশীঘ্র এই মন্ত্রনালয়ের সাথে আলাপ আলোচনা করা হবে। আইন মন্ত্রনালয় তাদের পরিত্যক্ত ভবনটিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে হস্তান্তর করতে সম্মত হলে সেখানে দ্রুত হার্ট চিকিৎসার হাসপাতাল করা হবে বলে সবাইকে আশ^স্ত করেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চ কিমস কেয়ার হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে কুমুদিনি ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট্রের পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা ও তার পরিবারসহ জেলার চারজন সংসদ সদস্য ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র উপস্থিত ছিলেন।