স্বর্ণালী প্রিয়া ডেক্স প্রতিবেদনঃআচার নাম শুনলেই যে কারও জিভে জল চলে আসে।অনেকেই আছেন যারা ঝাল খেতে খুব ভালোবাসেন। কাঁচা মরিচ ছাড়া অনেকেই ভাত খেয়ে তৃপ্তি পান না। যারা ঝাল প্রেমী তারা কাঁচা মরিচ দিয়ে আচার বানিয়ে নিতে পারেন।স্বাদবর্ধক ঝাল ঝাল মরিচের আচার পরিবেশন করতে পারেন ভাত, খিচুড়ি অথবা রুটির সঙ্গে। কথাটা পুরনো হলেও কিন্তু সত্য। প্রায় সকল বয়সী মানুষের কাছেই আচার পছন্দের একটি খাবার।তবে সেই আচার যদি হয় কাঁচা মরিচের তাহলে কেমন হবে?
কাঁচা মরিচে রয়েছে ভিটামিন-সি, কে, বি-৬,পটাশিয়াম, কপার ও ম্যাগনেসিয়াম। এছাড়াও এতে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ফলেট, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস। এসব উপাদান শরীরের জন্য স্বাস্থ্য উপকারী।
উপকরণ:
– কাঁচামরিচ ১০০ গ্রাম
– সরিষা বাটা- দেড় টেবিল চামচ
– ধনিয়া গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
– পাঁচফোড়ন মেথি সহ – ২ টেবিল চামচ
– আদা বাটা – ১ চা চামচ
– রসুন বাটা – ২ চা চামচ
– হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
– মরিচ গুঁড়া – ২ চা চামচ
– চিনি- ১/২ কাপ
– সিরকা/ভিনেগার- ১/২ কাপ
– রসুন কোয়া- ১৫ থেকে ২০ টি
– খাঁটি সরিষার তেল – ২ কাপ
– লবণ পরিমাণ মত
প্রণালি: প্রথমে মরিচ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার ডুমো ডুমো করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ৩/৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। পাঁচফোড়ন ভালো করে টেলে নিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। এবার তেল দিয়ে আদা, রসুন ও হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া দিন। সামান্য পানি দিয়ে মশলা কষান। কষানো হলে চিনি ও কাঁচামরিচ দিয়ে মিশিয়ে দিন। সিরকা দিন।
এরপর হালকা ভাবে জ্বাল দিতে হবে। বেশি নাড়াচাড়া করলে কাচা মরিচ ভেঙ্গে গুঁড়ো হয়ে যেতে পারে। পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিয়ে দিন। সব মসলা গায়ে গায়ে মাখানো হলে ও তেল ভেসে উঠলে নামিয়ে ফেলতে হবে। আচার বোতলে ভরতে হবে। আচারের ওপর পর্যন্ত সরিষার তেল থাকতে হবে নাহলে ছত্রাক পরতে পারে। মাঝেমধ্যে রোদে দিতে পারলে ভালো। ভাত, পোলাও কিংবা খিচুড়ির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার কাঁচা মরিচের আচার।