করোনার ঊর্ধ্বমুখী তাণ্ডবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ হয়েই চলেছে প্রাণহানির মিছিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ সাড়ে ৮০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও একদিনে গড় হারে তা অর্ধেকে নেমেছে। আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত কম হলেও আক্রান্ত বেড়ে পৌনে ৫৯ লাখে দাঁড়িয়েছে।এর মধ্যে বেঁচে ফিরেছেন অর্ধেকের বেশি রোগী। যার অধিকাংশই ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির বাসিন্দা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা হানা দিয়েছে ৩২ হাজার ৭১৮ জন মানুষের দেহে। এতে করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে প্রাণ ঝরেছে ৪৩০ জনের। একদিন আগে ছিল ৯৭৪ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ১৮০ হাজার ৬০৪ জনে ঠেকেছে। অন্যদিকে, গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ১৮ হাজার ৯৮৩ জন। যেখানে পুনরুদ্ধার হওয়ার সংখ্যা ৩১ লাখ ৬৭ হাজারের অধিক।
২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’ এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এখন ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৬ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ১৫২ জনের।
করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫৪ হাজার। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৫ হাজার ১৩২ জন মানুষের।
ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ সাড়ে ২১ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৮৯ জন।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৪৯ জনের। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি।
এছাড়া, অ্যারিজোনা, ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।
