এস,আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদনঃ আজ সোমবার(২৪আগস্ট)আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী বেগম আইভী রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ঘাতকের দল বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করেএ নারকীয় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন আইভি রহমান। বেগম আইভী রহমান গুরুতরভাবে আহত অবস্হায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আইভী রহমানের ১৬তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে সকাল বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠন যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে অংশগ্রহণ করেন।আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আজ সকালে বনানী কবরস্থানে মরহুমার কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত কর্মসূচি পালন করছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানী গুলশানের আইভি কনকর্ড টাওয়ারে আইভি রহমানের বাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য আইভি রহমানের পুরো নাম জেবুন নাহার রহমান আইভি। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই ভৈরবের সল্ফ্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। পিতা জালাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও মা হাসিনা বেগম গৃহিণী ছিলেন। তার একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। দুই মেয়ে তানিয়া বাখ্ত ও তনিমা রহমান ময়না। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন শুরু হয় আইভি রহমানের। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৮ ও ২০০২ সালের জাতীয় কাউন্সিলে পরপর দু’বার আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৮০ সাল থেকে বেশ কয়েক বছর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
রাজনীতি ছাড়াও আজীবন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন আইভি রহমান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন।