এস,আহমেদ ডেক্সঃ টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরের অধিকাংশ প্রধান সড়ক বেহাল দশা । শোচনীয় অবস্থায় আছে নগরের অভ্যন্তরীণ সড়ক-উপসড়কগুলোও। ছোট-বড় গর্ত ও বিশাল খানাখন্দে সৃষ্টি হওয়ায় বিঘ্ন হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচল। এতে নাগরিক দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামবাসীর যেন নিয়তি। এবর্ষা মৌসুমেও উন্নয়ন কর্মসূচীতে খোঁড়াখুঁড়ি তো আছেই এর মধ্যে বিশাল বিশাল খানাখন্দ রাস্তায় চলাচল দুর্ভোগের মাত্রা যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা লেগেই আছে । নগরবাসীর প্রশ্ন এমন অবস্থা থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসী কীভাবে মুক্তি পাবে? খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি আলোর কণ্ঠ সহ গণমাধ্যমে বারবার আসছে। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সাময়িক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও দুর্ভোগ অবসানে স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। জানা যায়, এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে খানাখন্দে ভরা নগরীর সড়কগুলো অবস্থা বেহাল। খোঁড়াখুঁড়ি ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশনের জন্য পুরনো ড্রেন ব্রিজ ভেঙে উঁচু করা হচ্ছে। আর এসব কাজ করতে গিয়ে কোথাও সড়কের একপাশ পুরো বন্ধ, আবার কোথাও পুরো সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে এসব কাজ শুরু করে শেষ করতে না পারায়, টানা বৃষ্টি আর যানজটে নগরবাসী ও কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ আর ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বক্সিরহাট সংলগ্ন সড়ক মুরাদপুর টাইগারপাস চকবাজার আগ্রাবাদ ,সহ সড়কে অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দ রয়েছে। চসিক তথ্যানুযায়ী নগরের রাস্তাঘাটের পরিমাণ ১১০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এর ৪০-৪৫ শতাংশ রাস্তাঘাটের অবস্থা এখন শোচনীয়। বড় বড় গর্তে গাড়ি উল্টে গিয়ে পথচারী ও যাত্রীদের হতাহতের ঘটনাও নিত্যনৈমিত্তিক।সমন্বয়হীন উন্নয়ন কাজ, ভারী যানবাহন চলাচলসহ আরো কিছু কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে মানসম্মতভাবে সড়ক সংস্কার করা হলে নগরীর সড়কগুলো অল্পতেই ভেঙে যেত না। এতে যেমন অর্থের সাশ্রয় হতো, তেমনি কমত জনদুর্ভোগও। চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তাঘাট চলাচলের উপযোগী রাখতে হলে নিয়মিত সংস্কার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দৃষ্টি দিতে হবে নির্মাণসামগ্রীর দিকে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার বিটুমিন উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে সেই গর্ত বড় হচ্ছে।