মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের এবার বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলার স্টল দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা কোনভাবেই যাতে বইমেলা মঞ্চে বসতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বইমেলা হবে বইমেলার মতই। সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল। লালদীঘি মাঠে এমন কাউকে বক্তৃতা রাখতেও দেয়া হবে না। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কারও সুপারিশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না।’
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২১’-এর প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় গতবারের সার্বজনীন বইমেলাটির পর্যালোচনা করা হয়। এবার ফেব্রুয়ারি মাসের পরিবর্তে করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি মার্চের ২৩ মার্চ থেকে ২০ দিন ব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা’ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় পর্যালোচনা করা হয় গতবারের ভুল ত্রুটি। গতবারের মেলার ভুলত্রুটি সঙ্কটগুলো তুলে ধরেন মেলা সংশ্লিষ্টরা।
সভার স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ ২০২০-এর সচিব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের( চসিক) প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ডাঃ মাহফুজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মুজাফফর আহমেদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোহিত উল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু , বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিকার অঞ্চল চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি নাজিম উদ্দিন শ্যামল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছড়াকার শুকলাল দাশ, কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক বিশ্বজিত চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, কবি সাংবাদিক ওমর কায়সার, বোধন সভাপতি আব্দুল হালিম দোভাষ, ছড়কার আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, কবি সেলিনা শেলী, ছড়াকার গোফরান উদ্দিন টিটু প্রমুখ।