শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাতে পারে। এ বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকদের নিরাপত্তা আগে। করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তের তারিখ পেছাতে পারে।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছেন আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে।
এদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করা হচ্ছে। যদি সংক্রমণ বাড়তে থাকে তবে সিদ্ধান্তে (৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার) পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার (১৩ মার্চ) এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। সেখানে পর্যালোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আরেকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। সেজন্যই শনিবার বিকেলে বৈঠক ডাকা হয়েছে।’
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা খাত। প্রায় ১২ মাস ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কার্যক্রম চলমান।