আজ সোমবার (১৫ মার্চ)চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, মাস্ক পরিধান না করা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে সাধারণ মানুষদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সোমবার থেকে ৬ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। অভিযানের প্রথমদিনে শুধুমাত্র সচেতন করে কাউকে জরিমানা না করার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এর পরে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
করোনা মোকাবিলায় সর্বত্র মাস্ক পরিধান নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার পর মানুষের ভয় কেটে গেছে। তারা মনে করেছে আর কোভিড হবেনা।
কিন্তু অবহেলা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামজিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হলগুলোতে সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
এ জন্য ১১৩টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে তাদেরকে অবহিত করা হবে। অনুষ্ঠানাদিতে অতিরিক্ত জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, নগরীতে জেলা প্রশাসনের ৬ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি মোবাইল কোর্ট টিম প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করবে।
মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নগরীর পাশাপাশি প্রত্যেক উপজেলাতে মাইকিং ও অভিযান চলমান থাকবে। সকলের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ স ম জামশেদ খোন্দকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোছাঃ সুমনী আক্তার, ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান, সুজন চন্দ্র রায়, উমর ফারুক প্রমূখ