করোনার কারণে এ বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করছেন তারা। আগামী শারদীয় দুর্গোৎসব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা মেনে এবং সরকারি নিয়মনীতি মেনে করার সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত ,উদযাপন পরিষদের বৈঠক নগরের জেমসেন হল প্রাঙ্গনে আজ শুক্রবার , ২৮ আগস্টসকাল ১০টায়।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা উপজেলাগুলো থেকে পূজামণ্ডপের পুরো তালিকা পাইনি। তবে পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত বুধবার সারাদেশে পূজা উদযাপন পরিষদ, মন্দির ও পূজা কমিটির কাছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার আয়োজন সংক্রান্ত ২৬ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনে এই করোনা মহামারীর সময়ে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে।তিনি বলেন, এ বছর কোনও উৎসব হবে না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা বন্ধ থাকবে। মণ্ডপে আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য কোনও গান না বাজানো, পূজামণ্ডপে দীর্ঘসময় দর্শনার্থী যেন না থাকে এবং সন্ধ্যার বিরতির পর দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা, ‘সন্দেহভাজন’ দর্শনার্থীর দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা নির্দেশনার মধ্যে প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভক্ত-পূজারি ও দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা, সকলে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, দর্শনার্থীদের মধ্যে ন্যুনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, পূজামণ্ডপে নারী-পুরুষের যাতায়াতের আলাদা ব্যবস্থা করা, পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা রাখা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখা, প্রতিমা নিরঞ্জনে শোভাযাত্রা পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে আমরা পূজার আয়োজন করছি।তিনি বলেন, কর্ণফুলী উপজেলা ছাড়া মহানগরের ২৫৭টি পূজামণ্ডপের তালিকা আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছি। এছাড়া করোনাকালে দুর্গাপূজার আয়োজন শুধু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জে এম সেন হল প্রাঙ্গণের পরিবর্তে হলের অভ্যন্তরে মায়ের প্রতিমায় পূজা হবে। অঞ্জলি নেওয়ার সময় ভিড় না করা এবং খোলা জায়গায় অস্থায়ী প্যান্ডেলে পূজার আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।