ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের উপড় হামলা হাসপাতালে ভর্তি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে (চেয়ারে বসাকে) কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের উপড় হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে কথিত সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও জিটিভির জেলা প্রতিনিধি এমদাদুল ইসলাম ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটু, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক জয় মহন্ত অলককে কথিত সাংবাদিকরা বেধরক মারপিট করে।
পরে নিজ নিজ অবস্থানে ফেরার পথে আবারো পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে করতোয়ার সাংবাদিক মনসুর আলীর নেতৃত্বে তাদের উপড় হামলা চালায়। দু’দফা মারপিটের ঘটনার পর কোন রকমে ওই তিন সাংবাদিক নরেশ চৌহান সড়কের সময় সংবাদ কার্যালয়ে বসে বিশ্রাম নেয়ার সময়। পরিকল্পিতভাবে করতোয়ার সাংবাদিক মনসুর আলী, এনটিভির লুৎফর রহমান মিঠুর নেতৃত্বে অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে জিটিভির সাংবাদিক ভুট্টোকে তুলে নিয়ে নিয়ে যায়। অনত্রে নিয়ে ভুট্টোকে আবারো মারধর করে। পরে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে অন্যান্য সাংবাদিকরা আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। যা অনাকাঙ্খিত। ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যামরাও।
এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এমদাদুল হক ভুট্টো জানান, তুচ্ছ ঘটনায় তারা গনমাধ্যকর্মী হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। আমাকে কয়েক দফায় তারা মারপিট করেছে। যা ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। তাতে তাদের কর্মকান্ড ফুটে উঠে।
সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান বকুল জানান, আমার নরেশ চৌহান সড়ক অফিসে হামলা চালায় পরিকল্পিতভাবে করতোয়ার সাংবাদিক মনসুর আলী, এনটিভির লুৎফর রহমান মিঠু। সাথে আরো কয়েকজন রয়েছে যা সিসি টিভির ফুটেজে রয়েছে। আমি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি। বাইরের ঘটনা নিয়ে আমার অফিসে হামলা যা কাম্য নয়। আমি অনুপস্থিত থাকায় হয়তো তাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমি মনে করি সংবাদকর্মী হয়ে এ ধরেন কর্মকান্ড নিন্দনীয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কে সভাপতি কে সম্পাদক তা দেখা হবে না।