চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো.রেজাউল করিম চৌধুরী জানান ,বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই যেখানে জলজট হতে পারে সেখানকার স্বাভাবিক পানি চলাচল ও নিষ্কাসণের প্রতিবন্ধকতা অপসারণসহ নালা-নর্দমা-খালে আবর্জনা ও মাটি মুক্ত করনের কাজ ক্রাশ প্রোগ্রামের অধীনে চলমান থাকবে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসণে সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চাক্তাই খালের যে সকল স্থানে বাঁধ দেয়া হয়েছে সেখান থেকে জমাট পানি সরে যেতে বিকল্প পথ তৈরী করতে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাহলে এ বছর নগরীর জলাবদ্ধতা না হলেও জলজট সমস্যা প্রকট হবে না।
তিনি আজ সকালে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে বাড়াইপাড়া রাস্তার মুখ পর্যন্ত বড় নালা থেকে জমাট আবর্জনা ও মাটি মুক্ত করণ এবং পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলাকালে ওয়ার্স আপ সংযোগ মাধ্যমে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে একথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, নগরীর যে অংশে বর্ষায় স্থায়ী জলজট হয় সেখানকার মোট নালা-নর্দমা-খালের ৫০ শতাংশ যদি পানি প্রবাহ পথ বাঁধামুক্ত করা সম্ভব হয় তা হলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা সমস্যা সহনীয় মাত্রায় থাকবে।
তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, নালা-নর্দমার উপর থেকে অননুমোদিত স্ল্যাব স্থাপন দন্ডনীয় অপরাধ। আর যারা বাড়ি দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নালা-নর্দমাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলেছে এগুলো নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না ফেললে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি কর্পোরেশনের একার নয়, নগরীতে বাস করতে হলে প্রত্যক নাগরিককে দায়িত্বশীল হয়ে কিছু আইন-কানুন মেনে চলতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামে নেতৃত্বে নগরীর কয়েকটি স্থানে প্যাচ ওয়ার্ক কার্যক্রম চলমান রয়েছে এতে প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বশীল কর্তকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।