৭১’র মতোই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় হেফাজত কর্মীদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেভাবেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালায়। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে পারে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বারবার হামলা চালায় তারা। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে সব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের বড় শক্তি। সেজন্য তারা বারবার সংস্কৃতির ওপর হামলা চালায়। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান অবদান রাখতে পারে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর বারবার হামলা চালায় তারা। শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, বিশ্বাস করা যায় না এমন ধ্বংসযজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারা চালিয়েছে। যেসব স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে, আমরা সেগুলো পুনরায় নির্মাণ করব। যারা এ ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।