আজ বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল)ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৪ সালের আজকের এ দিনে তিনি পুরান ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি আবদুল আজিজ এবং মুন্নি বেগমের কনিষ্ঠ সন্তান। তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১ পুত্র ও ২ কন্যার জনক। মোহাম্মদ হানিফ ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান করেন।
এসময় ৬ দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ঢাকা-১২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে হুইপেরও দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৬ সালে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
এছাড়া ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছোড়া গ্রেনেডে শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও মারাত্মক আহত হন তিনি। তার মস্তিষ্ক সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্প্লিন্টার প্রবেশ করে। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
মোহাম্মদ হানিফের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি অনুসারে স্বল্পপরিসরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসহ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র হানিফ স্মৃতি সংসদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, দুস্থঃদের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি।
নন্দিত এই নেতার একমাত্র ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।