করোনা টিকা নিলেন ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৪৫০ জন ,

দেশে এ পর্যন্ত ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৪৫০ জন মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮০ জন পুরুষ এবং ২১ লাখ ২৮ হাজার ৫৭০ জন নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ৯৩৯ জন নারীসহ ২ লাখ ১৮ হাজার ২৬ জন করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এ ছাড়া আজ বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭০ লাখ ১৮ হাজার ১৫০ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ১৯ হাজার ৯৪৩ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩১১ এবং নারী ৭ হাজার ৬৩২ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৯৬ হাজার ৫৫৯ এবং নারী ৪০ হাজার ১৪৪ জন।

এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকা গ্রহণ করেছেন ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৭৮ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৫ জন। ঢাকা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ হাজার ২৯৪ ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৩৩ হাজার ১১৯ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৮ জন, এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১২ হাজার ২২৫ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৬০৬ জন, এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫০ হাজার ২৪৬ জন। রাজশাহী বিভাগে ৬ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ জন, এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯ হাজার ৮০৩ জন। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৫ জন, এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২২ হাজার ৬৪৮ জন। খুলনা বিভাগে ৭ লাখ ৭ হাজার ৬৪৩ জন, এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২৩ হাজার ৮৬৫ জন। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৬৬ জন, এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ হাজার ৪৯৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪৩ জন, এরমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৫ হাজার ৪৪৬ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।