তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান,তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে ডিজিটাল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। হোমগ্রোন ইনোভেশন এন্ড সল্যুশন দিয়ে নিজেদেরকে একটি প্রবলেম সলভিং জাতি হিসেবেও গড়ে তুলতে হবে। জুনাইদ আহমেদ পলক শনিবার ইনোভেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযাত্রার অর্জন ও ভবিষ্যৎ গন্তব্য’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে অংশ গ্রহণ করেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী, বিডার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, ডেটাসফট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান ও এসবিকে টেকভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হুসাইন সামাদ ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে একটি ইনোভেশন ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতে শিক্ষা অবকাঠামো পরিবর্তন করে অ্যাক্টিভ লার্নিং ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষনা ও সমস্যার সমাধান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উদ্ভাবনী ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরো সহজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সুযোগ হিসেবে নিতে হবে। এজন্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিজিটাল ইকোনমি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে অনলাইনে সরকারী মৌলিক সেবার ৯০ শতাংশ চলে এসেছে। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারছে। এরপর ২০২৫, ’৩১ ও ’৪১ সালের তিনটি ধাপ পার হওয়ার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রনয়ণে ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস প্লাটফর্ম বড় ভূমিকা পালন করবে।