কেউ কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট ও পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে, কঠোর ব্যবস্থা

আজ রোববার(১১ এপ্রিল)পবিত্র রমজানে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহরোধে সরকার সমন্বিত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান ,শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলস্থ শিল্পভবনে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।

পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়াজনীয় খাদ্য-পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই’র গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম এবং চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনি বিক্রয় কার্যক্রম তুলে ধরতে জুম অনলাইনে এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব কে এম আলী আজম।

করোনা মহামারির সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার-ঘোষিত লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে উল্লেখ করে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, ওজন এবং পরিমাপে কারচুপি বন্ধ করতে চলমান মোবাইল কোর্ট ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সমন্বয়ে গঠিত সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

এছাড়া পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে বর্তমানে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায়, যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করা হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) পরিচালিত আকস্মিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের মাধ্যমে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর যে সকল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন সেসব খাদ্য ও পানি এবং ইফতার-সামগ্রীর উপর বিশেষ নজর রাখা হবে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না।

‘আমাদের চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে’ এ কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারসাজির মাধ্যমে সরকারের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতি পুনরুল্লেখ করেন। মন্ত্রী এক্ষেত্রে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ এ সময় জানান, বিএসএফআইসি’র প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮ (আটষট্টি) টাকা এবং মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩ (তেষট্টি) টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী আসন্ন রমজান মাসে ভোক্তাদের মাঝে মানসম্মত পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান। অসাধু চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য তিনি সবাইকে সজাগ থাকারও আহবান জানান।

এই প্রেস ব্রিফিংয়ে জুলাই ২০২০ হতে মার্চ ২০২১ পার্যন্ত মাননিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিএসটিআই’র গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) লুৎফুন্নাহার বেগম ও মো. সেলিম উদ্দিন (অ. দা: মান নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা সহায়তা), বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার ও বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপুসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা প্রেস ব্রিফিংয়ে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।