এস,আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদনঃ হালদা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের রাউজানের কয়েক হাজার মানুষ। নদীর ভাঙনে তাদের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারির সময় নতুন আতঙ্ক যুক্ত হয়েছে হালদা নদী ভাঙন। হালদা নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি। ভাঙনে ভিটেমাটি ও সহায়সম্বল হারিয়েছেন অনেকে। এলাকাবাসী জানান, চলতি বছর বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে।হালদা নদীতে তীব্র স্রোতের ফলে প্রতি বছর এ সময় ভাঙন শুরু হয়। এতে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বসতভিটা হারিয়ে সড়কের পাশে মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার। এখন ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার। নদী ভাঙনের কারণে তীরবর্তী বাসিন্দারা আছেন আতঙ্কে।আর এ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে রাউজানের পশ্চিম বিনাজুরীর হালদা পাড়ের শত পরিবার। উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদীর দু’পাশের শত পরিবার। ভাঙন দুশ্চিন্তায় দিশেহারা তারা। গত কয়েকবছর ধারাবাহিক ভাঙনে পথে বসেছে অন্তত দুই শতাধিক পরিবার। নদীতে বিলীন হয়েছে একাধিক বসত বাড়ি।স্থানীয়রা জানায়, হালদা নদীতে তীব্র স্রোতের ফলে প্রতিবছর এ সময় নদী ভাঙন শুরু হয়। এতে উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরীর কয়েকটি গ্রাম একটু একটু করে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বসতভিটা হারিয়ে সড়কের পাশে মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার। পাশাপাশি ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি। তাদের অভিযোগ প্রতি বছর একরের পর একর জমি বিলীন হচ্ছে হালদায়। ভাঙছে বসত ভিটা। তবুও ভাঙন কবলিত মানুষদের রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন জোড়ালো ভূমিকা নিচ্ছেনা। সরেজমিন পরিদর্শনে পশ্চিম বিনাজুরী এলাকায় দেখা যায়, হালদার ভাঙনের মুখে পশ্চিম বিনাজুরীর একটি গ্রাম। যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে এখানের একাধিক পরিবার। এর আশপাশে নদী তীরবর্তী এলাকাও ভেঙে পড়ছে।স্থানীয় ইউপি সদস্য, বিনাজুরী শশ্মান বিহারের সাধারন সম্পাদক সার্জেন্ট (অব.) রনজিত বড়ুয়া বলেন, এলাকার সাংসদ এখানে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড ও হালদা নদীর ভাঙন রোধেও ব্লকের ব্যবস্থা করেন। এতে অনেক জায়গা ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেলেও পশ্চিম বিনাজুরীর ভাঙন অব্যাহ রয়েছে। এতে আমরা আশা করব এটিও এমপি মহোদয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এলাকার গৃহবধু নিশা বড়ুয়া বলেন, নদীটি গত ১০-১৫ বছর আগেও বর্তমান নদীর অবস্থান থেকে অনেক দক্ষিণে ছিল। এখন ভাঙতে ভাঙতে অনেক বড় হয়ে গেছে। এতে এখনই কোন ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এখানকার মানুষের বসতঘর হারাবে।