কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় দ্বিতীয় বড় যুদ্ধে ‘টিকা উৎসব’ শুরু:নরেন্দ্র মোদি

কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ১১ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে টিকাদানের দ্বিতীয় বড় যুদ্ধ শুরু হওয়াকে ‘টিকা উৎসব’ হিসেবে উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার জনগণকে ভাইরাস মোকাবিলায় একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন এবং তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

আজ এক বিবৃতিতে তিনি “প্রত্যেকে ভ্যাকসিন নেবেন”, “প্রত্যেকে চিকিৎসা নেবেন” এবং “প্রত্যেকে সুরক্ষিত হবেন” সহ চারটি বিষয় মাথায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। প্রবীণ ব্যক্তি অথবা যারা যথেষ্ঠ শিক্ষিত নয় ভ্যাকসিন পেতে অবশ্যই তাদের সহযোগিতা দিতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি যাদের আর্থিক সামর্থ অথবা তথ্যের ঘাটতি আছে সেইসব কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিৎসা পেতে সহযোগিতার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। মোদি বলেন, মাস্ক পড়ে লোকরা নিজেদের এবং অন্যদের সুরক্ষা দিতে পারেন।

যদি কেউ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে ছোট নিয়ন্ত্রিত এলাকা গঠনে পরিবার ও সমাজের সদস্যদের নেতৃত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

তিনি বলেন, “ছোট নিয়ন্ত্রিত এলাকা গঠনে আমরা কতটা সজাগ তার ওপর আমাদের সাফল্য নির্ধারিত হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার ওপর আমাদের সাফল্য নির্ধারিত হবে, সাফল্য নির্ভর করে যারা ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য তাদের ভ্যাকসিনেশনে ওপর এবং আমরা মাস্ক পড়া এবং অন্যান্য নির্দেশনা কতটা মেনে চলি তার ভিত্তিতে।”

“যে কেউ ভ্যাকসিনের যোগ্য তাকে অবশ্যই ভ্যাকসিন পেতে হবে, এবং এ জন্য সমাজ এবং প্রশাসনের পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা চালাতে হবে” এ কথা উল্লেখ করে জোর দিয়ে তিনি বলেন, “কোন ভ্যাকসিন নষ্ট করা করা যাবে না” এটি নিশ্চিত করতে হবে।

“দেশের টিকাদান সক্ষমতার সর্বোত্তম কাজে লাগাতে হবে। এটি আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর উপায়” এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই চার দিনের টিকাদান কার্যক্রমে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সকল পর্যায়ে তা সফল করতে হবে। মোদি বলেন, “জনগণের অংশগ্রহন, সচেতনতা এবং আমাদের দায়িত্বশীলতায় আমার পূর্ণ আস্থা আছে, আমরা সফলভাবে পুনরায় করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে পারবো।”