না ফেরার দেশে বরেণ্য সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ

আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল)চলে গেলেন দেশের অন্যতম সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ। টানা ২০ দিন করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)।এ খবরটি নিশ্চিত করেছেন ফরিদ আহমেদ পরিবারের ঘনিষ্ঠজন গীতিকবি ফরিদা ফারহানা।

বরেণ্য এই সুরকার ১১ এপ্রিল থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

তারও আগে মার্চের শেষ সপ্তাহে সস্ত্রীক করোনা পজিটিভ ফল পান ফরিদ আহমেদ। অবস্থার খানিক অবনতি হলে ২৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরমধ্যে স্ত্রী শিউলি আক্তারের অবস্থা ভালো হলেও ফরিদ আহমেদের তেমন কোনও উন্নতি হয়নি।

চিকিৎসকরা জানান, করোনাভাইরাসের দাপটে ফুসফুসের ৬০ ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার। সঙ্গে ছিলো ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা।

উল্লেখ্য, ফরিদ আহমেদ অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার। লিটন অধিকারী রিন্টুর লেখা ও কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’ গানে সুর করে প্রথম প্রশংসিত হন তিনি। এরপর থেকে অসংখ্য গান সৃষ্টি করেছেন তিনি। নাটক-সিনেমার আবহসংগীতকার হিসেবেও তার অবদান অনেক।

ফরিদ আহমেদের সুর করা আলোচিত গানের মধ্যে রয়েছে ‘ইত্যাদি’ ম্যাগাজিনের টাইটেল সং ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি’, কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’, ‘মনেরই রাগ অনুরাগ’, রুনা লায়লার ‘ফেরারী সাইরেন’, রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনের কণ্ঠে ‘দলছুট প্রজাপতি’, চ্যানেল আইয়ের ‘আজ জন্মদিন’, ‘ক্ষুদে গানরাজ’, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’, সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতার থিম সং, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে ‘তুমি আমার জীবনের গহিনে’ প্রভৃতি।

২০১৭ সালে সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। ‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার জন্য এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি