চট্টগ্রামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জসহ খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান,বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং টিম।চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও নগরীর খুচরা বাজারে রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য মজুত ও সরবরাহ পর্যবেক্ষণ শেষে এ তথ্য জানান।

এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফয়েজুল্লাহ, কমিটির সদস্যসচিব মুনির আহমদ, সদস্য হারুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং টিমের সদস্যরা রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখেন। এসব পণ্যের মধ্যে তেল, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, খেজুরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্য স্বাভাবিকের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে বলে জানান।

এ ছাড়া খুচরা বাজারে আগের কয়েকদিনের তুলনায় ক্ষেত্রবিশেষে কম মূল্যে পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মনিটরিং কমিটির সদস্যরা।

বাজার মনিটরিংয়ের সময় দেখা যায়, খাতুনগঞ্জের মীর ট্রেডাসে তাদের প্যাকেটজাত পণ্য সয়াবিন তেল ও চিনি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ কেজি ওজনের মীর সয়াবিন তেল পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়।

এ বিষয়ে মনিটরিং টিম পণ্য উৎপাদন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেন।

মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মুনির আহমদ জানান, কিছু কিছু অনিয়ম পেলেও অধিকাংশ পণ্যের মূল্য ও মজুত স্বাভাবিক রয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফয়েজুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করেছি। পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক আছে।’

চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে বিভিন্ন দোকানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। মটর ডাল ৩৮ টাকায়, মশুর ডাল ৬২ থেকে ১০০ টাকার কেজি। এছাড়া মসলার মধ্যে জিরা প্রতি কেজি ২৮৫ থেকে ৩৩৫ টাকা কেজি, লবঙ্গ ৮১০ টাকা, গোল মরিচ ৫১০ টাকা, মিষ্টি জিরা ১২২ টাকায়, এলাচ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫০ টাকা কেজি, দারুচিনি ২৭০ থেকে ৩২৫ টাকা কেজি, জায়ফল ৭৫০ টাকা, জৈত্রিক এক হাজার ৩৫০ টাকা কেজি।