যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা, যারা সংবিধান মানেনা, যারা জাতীয় পতাকাকে সম্মান করেনা। তাদের এদেশে থাকার অধিকার নাই বলে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।শনিবার ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে শ্রদ্ধা নিদেন শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ জানান,আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরা কখনো হেফাজতের নামে, কখনো ইসলামের নামে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। এদেশে দেশে থাকতে হলে দেশের স্বাধীনতাকে মানতে হবে। দেশের পতাকাকে সম্মান করতে হবে। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকে মানতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধালন সম্পাদক বলেন,আমাদের স্বাধীনতা কারো দয়ায় আসেনি। স্বাধীনতা এসেছিল ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আাওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনারা সার্চ লাইটের নামে গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। এই যুদ্ধ পরিচালিত হয় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই মুজিবনগরে শপথ নেয়া বাংলাদেশের প্রথম সরকারের নেতৃত্বে। মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে বীর বাঙ্গালি দেশ স্বাধীন করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এবার মুজিবনগর দিবসটি বৃহৎ আকারে উদযাপনের ইচ্ছে থাকলেও করোনার কারণে সারাবিশ্ব বিপর্যস্ত। এই কারণেই আমরা সেভাবে দিবসটি পালন করতে পারলাম না। এর আগে হানিফ মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইফ আবু সাঈদ আল মামুন স্বপন এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর সেখানে নেতৃবৃন্দকে পুলিশের একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এর আগে মুজিবনগর সৃতিসৌধের পাদদেশে শেখ হাসিনা মঞ্চের পাশে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সূচনা করা হয়েছে। সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার রাকিবুল ইসলাম। পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নিরাবতা পালন ও দোয়া করা হয়।