সারাদেশে করোনা মহামারি রোধে সরকারে নির্দেশনা মোতাবেক ১ সপ্তাহ লকডাউনের সুযোগে পটিয়ায় আবারও চলছে দিনে ও রাতের আঁধারে চাষাবাদের জমি থেকে টপসয়েল কাটার মহাৎসব।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকটি সিন্ডিকেট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে একটি অসাধু মাটিকাটা চক্র প্রতিদিন পাহাড় ও ফসলি জমি থেকে জমির টপ সয়েল (জমির উপরি ভাগের উর্বরা অংশ) কেটে নেয়া হচ্ছে। এ মাটিকাটার ফলে পাহাড়ী বনভূমি যেমন ধ্বংস হচ্ছে তেমনি কৃষি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাছাড়া ইটভাটা, বসতভিটা ও পুকুর ভরাট কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব মাটি। ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুগুলি দেখিয়ে এক শ্রেণির দালাল ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে উজাড় করছে। এর ফলে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন ও ফসল বৈচিত্র্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরী ধানি জমি থেকে টপ সয়েল কাটা বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দিলে কিছু দিন বন্ধ থাকে। বর্তমানে লকডাউনের সুযোগের সেই সিন্ডিকেট ফসলি জমি ও পাহাড় থেকে টপ সয়েল কেটে উজাড় করছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে পটিয়া উপজেলা কচুয়াই ও খরনা পাহাড়ী এলাকা, লালরখীল, শহীদ শাহ আলম স্কুলের পাশ্বে, কাঞ্চনগর চাবাগার (পটিয়া অংশ), পাচুঁরিয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকা যোগে টপসয়েল কেটে আনা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাটি কাটার গভীরতার পরিমাণ ৫ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে কোথাও কোথাও অর্থনৈতিক ও অনৈতিক আগ্রাসনে পার্শ্ববর্তী মালিকের জমিও নষ্ট হচ্ছে।
ইতিপূর্বে হাইদগাঁও সাতগাউছিয়া মাজারের পূর্বে, হাইদগাঁও জিয়ারপাড়া, হাইদগাঁও দিঘির পাড় কালীবাড়ি এলাকা, গুচ্ছগ্রাম, কেলিশহর মডেল টাউন, খিল্লাপাড়া, ছত্তারপেটুয়া, নাগাটা বিল, মা ফাতেমা মাজারের পাশে, রতনপুর বড়–য়ার টেকের গোয়ালপাড়া, মৌলভী হাট হয়রত আবদুল কাদের জিলানী (রা:) মাজারের পাশে, বরলিয়া, ধলঘাট প্রবাহ স্টোরসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিটি পয়ন্টে ১০/১৫ লোক ও এস্কেভেটর দিয়ে কৃষি জমিতে মাটি কেটে ট্রাক, ড্রাম, মিনি পিকআপ ও ট্রলি ভর্তি করে উজার করছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ‘যেখানে মাটি কাটার খবর পাচ্ছি সেখান থেকে গাড়ি আটক করছি। তবে কোথায় মাটি কাটছে জানা নাই সঠিক তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।