পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যাবহুল দেশ ভারতে প্রতিদিনই বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যায় নিত্যনতুন রেকর্ডও তৈরি হচ্ছে দেশটিতে। একাধিক রাজ্যে টিকার ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠছে। এরই মধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে শয্যার স্বল্পতা। যা নিয়ে ভারতে উদ্বেগ বাড়ছে।
দেশব্যাপী হুহু করে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। এই অবস্থায় রাজ্যগুলোর চাহিদা মেটাতে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ চালু করছে ভারতীয় রেল। এই ট্রেনে লিকুইড অক্সিজেন আর সিলিন্ডার পাঠানো হবে বিভিন্ন রাজ্যে। আজ সোমবার থেকে কালাম্বলি আর বইসার থেকে যাত্রা শুরু করবে খালি ট্যাংকার। ভাইজ্যাগ, জামশেদপুর, রৌরকেল্লা আর বোকারো থেকে অক্সিজেন রিফিল করবে এই দুটি ট্রেন।মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি দিল্লিতেও পরিস্থিতি গুরুতর। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ‘হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ এত তীব্র গতিতে বেড়েছে যার ফলে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি, ঘাটতি পড়েছে রেমডেসিভির ওষুধেরও।’
এদিকে, পরিবহনে যাতে কোনভাবেই অক্সিজেনের সিলিন্ডারবাহী গাড়িগুলোকে বাধার মুখে পড়তে না হয় সে বিষয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া কোন রাজ্যেই যাতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি না হয়, পাশাপাশি উৎপাদনকারী এবং সরবরাহকারীরা যাতে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধার মুখে না পড়ে সেই বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনযুক্ত আইসিইউ বেড সম্পূর্ণ ভর্তি। কোনও জায়গা নেই হাসপাতালগুলোতে। উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে একটি বেডের আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন ৫০ জন। এখানে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর বেড কার্যত শূন্য। যোগীরাজ্যেও নেই কোন বেড।
হাসপাতালে ঠাঁই পেতে দু’দিন ধরে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে করোনা রোগীদেরকে। এক কোভিড রোগী আক্ষেপ করে জানান, ‘আমার খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে আপাতত অক্সিজেন পেয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছেন যে বেড খালি হলে তবেই বেড পাওয়া যাবে।’