আজ মঙ্গলবার(২০ এপ্রিল)বাজারের থেকে দাম কম হওয়ায় রংপুরের টিসিবির পয়েন্টগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে ডিলাররা ১ হাজার ৭৫ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার বিভিন্ন প্যাকেজ চালু করায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
অনেকেই ঋণ করে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে, প্যাকেজ আকারে পণ্য বিক্রির নিয়ম নেই জানিয়ে জড়িতদের লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে টিসিবি।
পবিত্র রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা দিতে ডিলারদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে টিসিবি। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ক্রেতারা ভতূর্কি দামে কিনতে পারছেন মসুর ডাল, ছোলা, সোয়াবিন তেল, চিনি ও পেঁয়াজ।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে টিসিবির নিত্যপণ্য কেনার জন্য মানুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছ।
টিসিবি থেকে সাধারণত ভোক্তারা ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ লিটার দরে সর্বোচ্চ ৫ লটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজির দরে ২-৩ কেজি ছোলা, ৫৫ টাকা দরে ৪ কেজি পর্যন্ত চিনি কিনতে পারেন ভোক্তারা। তবে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ডিলাররা ১০৭৫ থেকে ১১শ টাকায় প্যাকেজ চালু করায় অসুবিধায় নিম্নআয়ের মানুষ।
ক্রেতারা জানান,’টিসিবির পণ্য কিনতে আসছি। পাঁচ/ছয়শ’ টাকা বাজেট নিয়ে আসছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি ১১শ’ টাকা প্যাকেজ চালু করছে। তেল চার কেজির কমে দেয় না। আমি রিক্সা চালায় খাই, আমি করে কিনবো?’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলাররা বলছেন তারা পণ্য সমন্বয় করে বিক্রি করছেন। ডিলারা বলেন,’পাঁচ কেজি বুট দিচ্ছি। দুই কেজি চিনি দিচ্ছি এবং পাঁচ লিটারের একটা তেল দিচ্ছি। ডাল আমাদের পরিমাণ কম। আমরা সমন্বয় করে দিচ্ছি।’
প্যাকেজ আকারে পণ্য বিক্রির নিয়ম নেই উল্লেখ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে টিসিবি। টিসিবি রংপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র বলেন,’নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যই এ ব্যবস্থা। এখানে রমজান মানে প্যাকেজ চালু করেছে, সেটা অফিসিয়ালি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোন ডিলার যদি প্যাকেজ আকারে পণ্য বিক্রয় করে এবং সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যদি অসুবিধা হয় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার ডিলারশিপ বাতিল হতে পারে।’
রংপুর জেলার ৪০ট পয়েন্টে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। চলবে ৬ই মে পর্যন্ত ।