করোনার সংক্রমণ ঝুঁকিতে উচ্চ মাদারীপুর

আজ বুধবার(২১ এপ্রিল) ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় মাদারীপুরে। প্রথম লকডাউন হয়েছিল এই জেলার শিবচর। দ্বিতীয় তরঙ্গেও উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকির জেলা হিসেবে চিহ্নিত মাদারীপুর। অথচ জেলার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে নেই ভেন্টিলেশন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন বা আইসিইউ সুবিধা। স্থাপিত হয়নি পিসিআর ল্যাবও।

প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা। মাদারীপুরে মঙ্গলবার পর্যন্ত মারা গেছে ২৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭শ’ জন। আর হাসপাতালে ১০ জনসহ বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৬২ জন।

জেলার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে পর্যাপ্ত সেবা-সুবিধা না থাকায়, বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্তরা। উন্নত চিকিৎসা নিতে যেতে হয় বরিশাল, ফরিদপুর অথবা ঢাকায়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগী ও স্বজনদের।

রোগী ও স্বজনরা জানান, মাদারীপুরে মেশিন নেই তাতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জেলার মানুষজনের। গরীব-অসহায় মানুষরা দূরে যেতে পারছেন না। ভেন্টিলেশন নেই, করোনার টেস্ট করার কোন মেশিন নাই। এখানে ব্যবস্থা না থাকলে আমরা কোথায় যাব? ঢাকায় যাবার তো সবার সামর্থ্য নেই।

আরেকজন জানান, এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন নেই, অক্সিজেনেরও ভালো কিছু নেই, কোন কিছু হলেই রোগী ফরিদপুর বা বরিশালে পাঠিয়ে দেয়।

দুটি ভেন্টিলেশন, সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা এবং আইসিইউ’র ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আইসিইউ’র প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। সেখানে আমরা যদি লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট পাই তাহলে সেটা শুরু করতে পারবো।

শিগগিরই কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চান মাদারীপুরবাসী।