পশ্চিম বাকলিয়ায় চাক্তাই সহ সব খাল পরিস্কারের দাবি কাউন্সিলর শহিদের

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম আসন্ন বর্ষার পূর্বে তাঁর ওয়ার্ডের ভিতর দিয়ে প্রবাহমান চাক্তাই, বিরজাসহ সকল ছোট-বড় খাল পর্যাপ্ত লোকবল ও লংবুম স্কেভেটর দিয়ে পরিস্কারের দাবি জানান।

তিনি বুধবার বিবৃতিতে একথা বলেন। এর পূর্বে গত রোববার সকালে এলাকার কে বি আমান আলী রোডের ফুলতলা মোড়ে চাক্তাই বিকল্প খাল থেকে ময়লা অবর্জনা পরিস্কারের কাজ তদারকিতে যান। এই কাজে নিয়োজিত ছিলো ওয়ার্ডের ১০জন পরিচ্ছন্ন শ্রমিক ও ছোট একটি স্কেভেটর। যা দিয়ে কোনরকম করে অল্প স্বল্প পরিস্কার করা হয়।

এই অপর্যাপ্ত লোকবল ও সাজসরঞ্জামের অভাবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, প্রতিবছর বৃষ্টি হলে নগরীর বাকলিয়াসহ নি¤œাঞ্চল হাঁটু ও কোমর পানিতে ডুবে যায়। এই বৈশাখে কোনরকম বৃষ্টি ছাড়া ডি সি রোড হাফেজ টাওয়ারের সামনে খালের নোংরা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। খালগুলোর বিভিন্নস্থানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজের জন্য দেয়া বাঁধে ময়লা আবর্জনা জমে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র কাউন্সিলরদের নগরবাসীর প্রশ্নের মুখামুখি হতে হচ্ছে।

শহিদুল আলম কর্পোরেশন বা সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় তার এলাকার সব ছোট বড় খাল লংবুম ও ছোট স্কেভেটর দিয়ে পরিস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ওয়ার্ডের ১০ জন শ্রমিক দিয়ে পানিতে আটকে থাকা আবর্জনা সামান্য উঠানো গেছে । এই কাজ অনেকটা লোক দেখানোর মত। এতে মূল সমস্যার সমাধান হবে না। গত প্রায় চারবছর ধরে চাক্তাই খাল এবং চাক্তাই বিকল্প খাল পরিস্কার করার উদ্যোগ নেই। জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্পের ফাইলে এটি আটকে আছে নগরের সব খাল খননের কাজ। এতে নগরবাসীকে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।