আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৭৮১ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৪ হাজার ০১৪ জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি।
এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৭ হাজার ৭৮৭ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ৪২৯ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৭৭ হাজার ১১২ টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৮ জনের মধ্যে ৬২ জন পুরুষ, ৩৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জন। এছাড়া রাজশাহী ৬ জন, খুলনা ৫ জন, সিলেটে ৪ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং ময়মনসিংহে ৫ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন এবং বাড়িতে ৬ জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৫৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৪৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৫৩৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৯ হাজার ৫৩৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার জন।