বাজার ভরা পণ্যে তবু বাড়ছে দাম,বাজার ঘুরে

শনিবার (২৪ এপ্রিল) নগরের রিয়াউদ্দিন বাজার,বক্সির হাট কাজির দেউরি বাজার, চকবাজার বউবাজার কর্ণফুলী বাজার ঘুরে দেখা লকডাউনেও বাজারে সবজির কমতি নেই। সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে ভোজ্যপণ্য। তবুও নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে বিক্রেতারা। অপরদিকে অপরিবর্তিত ভোজ্যতেল ও চালসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়তি
।রোজানির্ভর পণ্যসহ একাধিক পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।,দেশে করোনার বিস্তার রোধে সরকারের লকডাউনে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভোক্তারা পড়েছেন বিপাকে।এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তাই অতিরিক্ত পণ্য না-কেনার জন্য ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এ বছর ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। সূত্র জানান রমজান উপলক্ষ্যে চটগ্রামসহ সারা দেশে বাজার তদারকি করছেন। সংস্হা পাশাপাশি অধিদপ্তরের তদারকি সদস্যদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তা করছে। কোনো অনিয়ম পেলে এবার অসাধুদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। আশা করি দাম কমে আসবে।

বাজারে প্রতিকেজি গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।।

এদিকে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় । সয়াবিন প্রতিলিটার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। রম মসলার মধ্যে জিরা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, দারুচিনি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা।

চালের বাজারে প্রতিকেজি পাইজাম ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, কাতাল ১৭০ টাকা, রুই ১৬০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ৬০০ টাকা।

এদিকে মাংসের মধ্যে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৮০ টাকা, লেয়ার ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।