আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলে সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান,স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনের বেলায় সরকার দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। দোকান মালিকদের পরিস্থিতি অনুধাবন করে ও ভয়াবহতা উপলব্ধি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আবারও যেন লকডাউন দিতে না হয়, আবারও যাতে দোকানপাট বন্ধ করতে না হয় সেজন্য আপনারা মাস্ক পরিধান করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
তিনি বলেন, গণপরিবহন যখন চালু হবে, এর আগেও তাদের বলা হয়েছিল কিন্তু দেখা যাচ্ছিল কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনেছেন, আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। কিন্তু আবার লকডাউন তোলার পর সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত দিয়ে যখন গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে সেই সুযোগের অপব্যবহার যেন কোনো গণপরিবহন না করে। অর্ধেকের বেশি যাত্রী নিলে বা দাঁড়িয়ে যাত্রী নিলে বা বেশি ভাড়া নিলে, শর্ত না মানলে সরকার আবার লকডাউন দিতে বাধ্য হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ সাহায্য নিয়ে যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রাণ ও নগদ অর্থ যাতে বেহাতে না যায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে এবং যথাযথ জায়গায় যেন ত্রাণ পৌঁছে সেদিকেও নজর দিতে হবে।
বিএনপির অপপ্রচার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথম ডোজের মত দ্বিতীয় ডোজের টিকাও যথাসময়ে জনগণ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। দেশের জনগণের শেখ হাসিনার উপর সে আস্থা রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যতটুকু গবেষণা করেছেন, তা বন্ধ করে জনগণকে সচেতন করার জন্য দু’একটি বক্তব্য রাখলে করোনার সংক্রমণ রোধে সামান্যতম হলেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতো।
ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দীন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।