আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যা ২৫ শতাংশ আসন কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে। আর বাকি অর্ধেক ২৫ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে ইস্যু করা যাবে।বর্তমানে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে উপ-পরিচালক (টিসি) মো: নাহিদ হাসান খাঁন এ তথ্য জানান । টিকিট ইস্যুর উল্লেখিত সংশোধনীগুলো আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে টিকিট ইস্যু করার অন্যান্য নিয়ম অপরিবর্তিত থাকবে।
কোনো স্টেশনের অনুকূলে কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীতে বর্তমান নিয়মে বিক্রয়কৃত মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিটের সংখ্যা ৬টির বেশি হলে কাউন্টার, অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। টিকিটের সংখ্যা অনধিক ৬টি হলে তা শুধু অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সংরক্ষিত থাকা ২ শতাংশ আসন বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে।
তাছাড়া, কাউন্টার ও অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইল কোটায় বিক্রি না হওয়া টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা আগে যে কোনো মাধ্যম থেকে ইস্যু করা যাবে।
এদিকে, সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারের মাধ্যমে এবং বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা যাবে। বর্তমানে এখন সব মিলিয়ে মোট ৬৭ জোড়া, অর্থাৎ ১৩৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। আন্তঃনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে।