ছবি ও প্রতিবেদন বিপ্লব সেন’ এস আহমেদঃ
সোমবার ২৬ এপ্রিল বৈশাখের গরম দেশজুড়েই পড়েছে। ভোরের শুরুতেই তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত নগর জীবনএরই মধ্যে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন । বৃষ্টিহীন বৈশাখের সপ্তাহ জুড়ে বিস্তীর্ণ জনপদে তপ্ত রোদের প্রখরতা অব্যাহত রয়েছে এরই মধ্যে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এই মুহূর্তে সবাই যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই ফেঁপে উঠেছে প্রকৃতি। আজ ভোর বেলা থেকেই চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। বৃষ্টি না থাকায় জনজীবনে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।চট্টগ্রামে অস্বস্তির গরম,সঙ্গে লোডশেডিং এর মাত্রা বেড়েছে। প্রচণ্ড গরম ও তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিও। তীব্র দাবদাহে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত,সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত টানা অগি্নবানে এ অঞ্চলের জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।গতকাল থেকে তীব্র খরতাপেই পুড়ছে পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল। প্রচন্ড দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ।দিনের মধ্যভাগে মাটিতে পা ফেললে সূর্যের তেজ কতটা প্রখর তা সহসাই টের পাওয়া যাচ্ছে। চল্লিশের ঘরে উঠা তাপমাত্রা বাতাসে উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।তীব্র দাবদাহের কবলে গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত তাপ যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে সকলকেই। তীব্র রোদ, অসহনীয় গরম একটু স্বস্তির আশায় খাচ্ছেন শরবত, ডাব ও ঠান্ডা পানি। প্রখর সূর্য্য, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট মানুষ, অলস সময় কাটছে শ্রমিকদের। সামান্যটুকু স্বস্তির আশায় ছুটোছুটি করেও মিলছে না কোথাও।একটু স্বস্তি পেতে ঠাণ্ডা শরবত বা পানি দিয়ে তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষজন ।সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। একটু শীতলতার আশায় পুকুরে ছুটোছুটি করছে শিশু-কিশোররা।চট্টগ্রামসহ দেশের সাত বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে চলা মৌসুমের চতুর্থ দফার মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।চলমান এই মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আগামী কয়েকদিন প্রলম্বিত হতে পারে। চট্টগ্রামের সমুদ্র উপক‚লবর্তী সীতাকুন্ডে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।এপ্রিলের একেবারে শেষদিকে মৌসুমের চতুর্থ দফার এই তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে প্রশমিত হয়ে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।