পাঁচবিবিতে পর্দা টাঙ্গিয়ে গ্যারেজে পরীক্ষা

মো: আলী হাসান
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
কক্ষ সংকটের কারনে অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে শিক্ষক/শিক্ষার্থীর মটরসাইকেল ও সাইকেল রাখার গ্যারেজে। চলতি বছর এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল (কারিগরি) সমাপণী পরীক্ষা জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। এবছর উপজেলার ৩০টি মাদ্রাসার ৬৮৪ জন দাখিল পরীক্ষার্থী সমাপণী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। মহব্বতপুর আমিনিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা এবং মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়। সরেজমিনে দেখাযায় শ্রেণীকক্ষের অভাবে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে মহব্বতপুর আমিনিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সাইকেল গ্যারেজে। সাইকেল গ্যারেজটি পর্দা দিয়ে আড়াল করা হয়েছে। কক্ষ সংকটের কারনে কয়েক বছর থেকেই সাইকেল গ্যারেজে অল্প কিছু বাচ্চাদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে জানান মহব্বতপুর আমিনিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী।

সাইকেল গ্যারেজে পরীক্ষা দেয়া কড়িয়া আলিম মাদ্রসার পরীক্ষার্থী আরিফা খাতুন (রোল নং-৪১৪৬১৪) বলেন, আমার সহপাঠিরা বিল্ডিং রুমে ফ্যানের বাতাসের নিচে বসে আরামে পরীক্ষা দিলো। আমি গরমের মধ্যেই গ্যারেজে বসে পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্বায়িত্ব পাওয়া ওই মাদ্রাসার আরবী বিভাগের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, টিনসেডের নিচে গ্যারেজে গরমের মধ্যে বাচ্চাদের পরীক্ষা দেওয়া একটু কষ্টই হবার কথা। শাইলট্টি বিন্নিপাড়া দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী মোঃ ছাব্বির হোসেন (রোল নং-১৬৫০৪৩) বলেন, হুজুরেরা যদি একটু ফানের ব্যবস্থা করত তাহলে আমাদের জন্য পরীক্ষা দেওয়া ভালো হত। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মারুফ আফজাল রাজন পরীক্ষা কেন্দ্র পরির্দশনে দেখতে পায় কিছু রুমে আলো কম পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হতে পারে। এসময় তিনি কেন্দ্র সচিবকে বৈদতিক বাল্ব লাগানোর নির্দেশ দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি হিসাবে কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন বলেন, কক্ষ সংকটের কারনে এমনটা হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীদের যেন অন্য কোন সমস্যা না হয় সে বিষয়টা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।