পটিয়া পৌর নির্বাচনে বিস্ফোরণ ও সহিংসতায় নিহত ১

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা ।চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গোলাগুলিতে আবদুল মাবুদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। দুপুরে পটিয়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দারখীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি আবদুল্লাহ। তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী মান্নানের ভাই বলে জানা গেছে। পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, পটিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দারখীল এলাকায় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হয়েছেন।

এসময় কাউন্সিলর প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পটিয়া আনসার ভিডিপি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করে। অপরদিকে একই পৌরসভায় আবদুল খালেক নামে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি ১নং ওয়ার্ডের প্রার্থী। খালেক এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।

পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের শুরুতেই ইভিএম মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়। এতে পিটিআই কেন্দ্রে দুটি বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়। এর আগে সকাল দশটার দিকে, চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গাছবাড়িয়া এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার দুই ভোটকেন্দ্র দখল নিতে কাউন্সিলর প্রার্থী খোরশেদ আলম সবুজ ও
লোকমান হাকিমের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ হয়।

চন্দনাইশ থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ভোট শুরুর পর দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পুলিশ যাওয়ার পর তারা সটকে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।