আজ সোমবার(৫অক্টোবর)ঝরে পড়া রোধে স্কুলে ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণের দিকে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং স্কুলে ঝরে পড়া বন্ধে ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। যাতে তারা স্কুলে থাকে।’বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘শিশুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’দেশের প্রতিটি উপজেলায় শিশুদের জন্য মিনি স্টেডিয়াম করে দেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমাজের কোনো স্তরের কেউ যেন বাদ না পড়ে সে জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৃত্তি আমরা দিচ্ছি। করোনার মধ্যেও বৃত্তি উপবৃত্তি পৌঁছে দিচ্ছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করে দিচ্ছি। সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার জন্য আমরা প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছি। নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল খুলতে পারছি না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। এটা বাচ্চাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টের। কারণ ঘরের মধ্যে বসে থেকে কী করবে তারা?’-যোগ করেন সরকারপ্রধান।’
শেখ হাসিনা আরোও জানান,কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌথ পরিবার আছে। যৌথ পরিবারের শিশুদের খুব একটা কষ্ট হয় না। কারণ নিজের আত্মীয়-স্বজন সকলের সঙ্গে সমবয়সী অনেক পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে মিলেমিশে খেলাধুলা করে খুনসুটি করে ঝগড়া করে আবার একসঙ্গে মিলে খেলাধুলা করে তাদের একটা সুন্দর পরিবেশ থাকে কথা বলার একটা সুযোগ পায়।
ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে শিশুদের গড়ে তুলতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
করোনাকালে শিশুদের আশপাশে পার্কে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য ঘুরতে নিয়ে যেতে বাবা-মায়ের প্রতি আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের খেলার চাহিদা মেটানোর জন্য আলাদা একাডেমি করা হবে বলে জানান সরকারপ্রধান।