গ্রেফতার ও মামলা বন্ধ না হলে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নাসিমন ভবন নগর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। গত ১০ মাস করোনার সময়েও মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে। নির্বাচনের ঠিক দুইদিন আগে মাস্তান, চাঁদাবাজ, ইয়াবা ব্যবসায়ী দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করার পাঁয়তারা চলছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী পুলিশের দ্বারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করা হচ্ছে।গত এক সপ্তাহে গ্রেফতার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার না হলে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করবো।’ (চসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে গণগ্রেফতারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। তাদের দাবি, রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে বিভিন্ন নেতার বাসা বাড়িতে তল্লাশির নামে অভিযান চালানো হচ্ছে।

মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ইদ্রিস আলী বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণগ্রেফতার করছে পুলিশ। রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সিনিয়র নেতাদের বাসায় তল্লাশির নামে অভিযানও চালানো হচ্ছে।

দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আমরা সব কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, এই আশ্বাস নির্বাচন কর্মকর্তারে কাছে চাই। একটা সময় বেঁধে দেবো নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করার জন্য। যদি প্রতিশ্রুতি দেন, তাহলে অবস্থান কর্মসূচি করবো না। অন্যথায় আমরা অবস্থান নেবো।